মিড ডে মিল বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে কিছু অসঙ্গতি থেকে গিয়েছে। এর পর রাজ্য সরকারের নিজস্ব রিপোর্ট প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিস্তারিত পড়ুন: বাংলায় মিড ডে মিল সকলে পাচ্ছে না কেন, রিপোর্ট প্রকাশ করে এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে কিছু অসঙ্গতি থেকে গিয়েছে। এর পর রাজ্য সরকারের নিজস্ব রিপোর্ট প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্র রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিলের জন্য নথিভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬। সেখানে মিড ডে মিল পেয়েছে ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন। অর্থাৎ, নথিভুক্ত পড়ুয়ার ৬৯ শতাংশ মিড ডে মিল পেয়েছে। আবার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগনায় তা অনেকটাই কম। প্রায় অর্ধেক। আবার ২০২৫-’২৬ শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিলের জন্য নথিভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা কমে হয়েছে ৮০ লক্ষের মতো। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে কৈফিয়ত চাইল কেন্দ্র। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রাজ্যের তরফে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের দাবি, ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষে পিএবি অর্থাৎ, প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের অনুমোদিত বাজেট অনুসারে ৯১ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল পেয়েছে। সেখানে ২০২৩-’২৪ সালে তা ছিল ৮৫ শতাংশ।
ব্রাত্য বলেন, ‘‘২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বড় রাজ্যগুলির তুলনায় রাজ্যের মিড ডে মিল ব্যবস্থার অবস্থা যথেষ্ট ভাল। বাংলায় যত শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল পায়, শতাংশের হিসাবে বিহার, গুজরাত, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে তা কম। পশ্চিমবঙ্গকে পঙ্গু করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।’’
#MidDayMeal #BratyaBasu #MiddayMealScheme
0 Comments